Garlic Spry
Garlic Spry

রসুনের উপকারিতা গুনাগুন ও সাবধানতা

Benefits of Garlic Qualities and Cautions: রসুনের উপকারিতা গুনাগুন ও সাবধানতা

রসুন মশলা বা সবজি হিসেবে সুপরিচিত । আদিকাল থেকেই রান্নায় রসুনের ব্যবহার হয়ে আসছে। তবে রসুনে বিদ্যমান গুনাগুন সম্পর্কে জানলে সবাই আশ্চর্য হয়ে যায়। রসুনের রয়েছে বহুগুন ও উপকারিতা। রসুনকে গরিবের এন্টিবায়োটিক বা পেনিসিলিন বলা হয়ে থাকে।

নিয়মিত কাঁচা রসুন চিবিয়ে খেলে জ্বর ঠান্ডা কাশি সহ বহু রোগ বালাই থেকে দূরে থাকা যায়।কাঁচা রসুনে রয়েছে আমিষ, ফাইবার, ভিটামিন সি, থায়ামিন , রিবোফ্লাবিন, লেনিয়াম, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ,ফসফরাস, পটাশিয়াম, সোডিয়াম, দস্তা ও প্রচুর ক্যালসিয়াম সহ আরো বহু উপকারী উপাদান । চলুন জেনে নেওয়া যাক রসুনের উপকারিতা গুলো সম্পর্কে।

রসুন মূলত একটি মসলা জাতীয় উপাদান। সারাবিশ্বে রান্নার মসলা হিসেবে রসুন সৃষ্টির শুরু থেকে চলে আসছে। ভালো করার জন্য রসুনের উপকার অন্যতম। সারা বিশ্বের মানুষ রান্নার পাশাপাশি রসুন কে বিভিন্ন রোগ নিরাময়ের জন্য ব্যবহার করে আসছে। তার কারণ হচ্ছে রসুনে প্রচুর পরিমাণে ময়শ্চার, ভিটামিন, প্রোটি্‌ ফ্যাট মিনারেল ফাইবার ও কার্বোহাইড্রেট রয়েছে। ভিটামিন ও মিনারেল এর মধ্যে রয়েছে ক্যালসিয়াম, আয়রন, থিয়ামিন ভিটামিন সি ইত্যাদি। খালি পেটে রসুন খেলে বিভিন্ন রোগ দূর হওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন রোগের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারে রসুন। চলুন জেনে নেয়া যাক রসুনের উপকারিতা।

রসুনের অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টিফাঙ্গাল গুণ একে অনেকটা ওষুধের মতোই তৈরি করেছে, যার দরুন রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। খালি পেটে রসুন খেলে এই উপকার বেশি। বর্তমানে এই অতিমারি পরিস্থিতিতে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বৃদ্ধিতে খুব জরুরি, তাই প্রতিদিন দুই কোয়া রসুন খেতে পারেন।

১। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি :

রসুনে থাকা প্রচুর পুষ্টি উপাদান এর কারণে এটি শরীরে প্রাকৃতিক এন্টিবায়োটিক এর কাজ করে।রসুনে এন্টিঅক্সিডেন্ট বিদ্যমান থাকায় প্রতিদিন ১ থেকে ২ করে করে রসুন কাঁচা অবস্থায় চিবিয়ে খেতে পারলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা প্রচুর বৃদ্ধি পায় যার ফলে শরীর বিভিন্ন রোগ জীবাণুর আক্রমণ প্রতিহত করতে পারে। তাই শরীর থাকে সুস্থ্য ও রোগমুক্ত।

২। উচ্চরক্ত চাপ নিয়ন্ত্রণ :

রসুন উচ্চরক্ত চাপ কমাতে বিশেষ কার্যকরী।শরীরের রক্ত সঞ্চালন ঠিক রাখে রসুন।রক্তনালির ওপর রক্তের চাপও কমায় । তাই উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন এমন রোগীরা ডাক্তার এর সাথে পরামর্শ করে ডায়েটে রাখতে পারেন রসুন।

০৩। অন্ত্রের জন্য :

রসুন খুব শক্তিশালী উপাদানে ভরপুর। অন্ত্রের বিভিন্ন খারাপ ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে থাকে রসুন। যার ফলে হজমজনিত সমস্যা ও কৃমি দূর হয়। তাছাড়া যকৃত ও মূত্রাশয় কেও শক্তিশালী করে থাকে রসুন।

৪। যৌবন ধরে রাখতে :

রসুন যৌবন ধরে রাখতে বিশেষ উপকারী। যারা যৌবন ধরে রাখতে চান তাদের জন্য খুব উপকারী বন্ধু রসুন। এ ক্ষেত্রে ১ কোয়া কাঁচা রসুনের সাথে ১ চা চামচ মধু ও ২ চা চামচ লেবুর রস মিশিয়ে খেলে খুব ভালো ফলাফল পাওয়া যায়।

৫। যৌন শক্তি বৃদ্ধি করে :

অনেক গবেষণায় বলা হয়েছে রসুন যৌন ক্ষমতা বৃদ্ধি করে থাকে। রসুন শরীরের রক্ত সরবরাহ কে উন্নত করে। যার ফলে দেহের যৌনাঙ্গেও রক্ত সরবরাহ বৃদ্ধি পায়। যার ফলে যৌনাঙ্গ হয়ে উঠে শক্তিশালী।কাঁচা রসুনের সাথে মধু মিশ্রিত করে খেলে যৌবনী শক্তি প্রচুর বৃদ্ধি পেয়ে থাকে।তাছাড়া রসুন বীর্য গাঢ় করতেও বিশেষ কার্যকরী।

৬। জ্বর ঠান্ডা :

রসুন শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে যার ফলে সিজোনাল জ্বর ঠান্ডা কাশির আক্রমণ থেকে দেহকে রক্ষা করতে সাহায্য করে থাকে।

০৭। দেহ কে ডিটক্সিফাইড :

রসুন দেহের রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধির মাধ্যমে রক্ত পরিষ্কার করতে সাহায্য করে থাকে ও দেহের ক্ষতিকর বর্জ্য পদার্থ গুলো বের করে শরীরকে বিষমুক্ত বা ডিটক্সিফাইড করতে সাহায্য করে থাকে।

০৮। শ্বসন তন্ত্রের রোগে :

রসুন যক্ষ্মা, নিউমোনিয়া, ব্রংকাইটিস, ফুসফুসের কনজেশন, হাপানি, হুপিং কাশি ইত্যাদি প্রতিরোধ করে থাকে ।

৯। কোলেস্টোরল কমায় :

রক্তে খারাপ কোলেস্টোরল এর মাত্রা ও কমাতেও খুব কার্যকরী রসুন।

১০। স্নায়ুবিক চাপ :

স্নায়বিক চাপ কমিয়ে মানসিক চাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সক্ষম রসুন।

সাবধানতা :

শাসকষ্টের রোগী , অপারেশন এর রোগী ও দুগ্ধদানকারী মায়েদের ক্ষেত্রে রসুন খেতে বারণ রয়েছে বিশেষজ্ঞদের। তাছাড়া কাঁচা রসূন খুব উচ্চপুষ্টিগুন সম্পন্ন খাবার যার ফলে অনেকের হজম করতে কষ্ট হতে পারে। কাঁচা রসুন খাবার পর যদি অসুবিধার সম্মুখীন হন তাহলে খাওয়া বন্ধ রাখুন ও ডাক্তার এর পরামর্শ নিন।

রসুন খাওয়ার নিয়ম

রসুন মূলত একটি মসলাজাতীয় উপাদান। এর ঘ্রান অনেক তীব্র এবং ঝাঁজালো। তীব্র ঘ্রান যুক্ত থাকার কারণে অনেকেই এ মসলা খেতে পারে না। তাই আপনি চাইলে অনেকভাবে রসুন খেতে পারেন। তারমধ্যে তিনটে উত্তম মাধ্যম হচ্ছে,

1. প্রথমত আপনি যদি কাঁচা রসুন খেতে পারেন সেটা হবে সবচেয়ে বেশি উপকারী।
2. আপনি রসুন সিদ্ধ করে খেতে পারেন, এটাও শরীরের জন্য বেশ উপকারী।
3. আপনি চাইলে পানিতে ভিজিয়ে রেখে রসুনের পানি খেতে পারেন। এটি একটি পরীক্ষিত পদ্ধতি।
5. আরো কয়েকটি উপায় রসুন আপনি খেতে পারেন। আপনার কাছে যদি রশুন খেতে অসুবিধা মনে হয় বা খেতে ভালো লাগছেনা তাহলে নিয়মিত তরকারির সাথে রান্না করে খেতে পারেন। তবে সবচেয়ে বেশি উপকারী হচ্ছে কাঁচা খাওয়া।

রসুনের উপাদান

রসুন আমাদের দৈনন্দিন খাবারের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান; এই রসুনে রয়েছে থিয়ামিন (ভিটামিন বি১), রিবোফ্লাবিন (ভিটামিন বি২), নায়াসিন (ভিটামিন বি৩), প্যান্টোথেনিক অ্যাসিড (ভিটামিন বি৫), ভিটামিন বি৬, ফোলেট (ভিটামিন বি৯) ও সেলেনিয়াম। সেলেনিয়াম ক্যানসার প্রতিরোধে দারুণ কাজ করে। রসুনের মধ্যে রয়েছে এলিসিন নামে এক জরুরি ও গুরুত্বপূর্ণ উপাদান, যা ক্যানসারসহ বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা দূর করতে কার্যকর। এই এলিসিন নামে যে কম্পাউন্ড রসুনে পাওয়া যায়, তার কারণে রসুনকে সুপারফুডে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

প্রাচীন ইতিহাস ঘেঁটে দেখলে জানতে পারবেন, তখন রসুন কিন্তু শুধু বিভিন্ন অসুখ সারানোর জন্যই ব্যবহার হতো। মিসরীয়, ব্যাবিলনীয়, গ্রিক, রোমান ও চৈনিক সভ্যতায় ওষুধ হিসেবে রসুন ব্যবহারের নিদর্শন পাওয়া গেছে। এমনকি সকালে খালি পেটে রসুন চিবানোও স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।

রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বৃদ্ধি

রসুনের অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টিফাঙ্গাল গুণ একে অনেকটা ওষুধের মতোই তৈরি করেছে, যার দরুন রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। খালি পেটে রসুন খেলে এই উপকার বেশি। বর্তমানে এই অতিমারি পরিস্থিতিতে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বৃদ্ধিতে খুব জরুরি, তাই প্রতিদিন দুই কোয়া রসুন খেতে পারেন।

রসুন কি রোজ খাওয়া উচিত? খেলে কী পরিমাণে, কীভাবে

নিয়মিত রসুন খেলে যদি হার্ট ও রক্তচাপ ঠিক থাকে, কম থাকবে কোভিডের জটিলতাও। এর আরও নানান উপকার আছে।

স্বাস্থ্যরক্ষায় রসুন খাওয়ার চল বহু দিনের। খ্রিস্টপূর্ব ১৫০০ শতকে চিন ও ভারতে রক্ত পাতলা রাখার জন্য এর প্রচলন ছিল। আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের জনক হিপোক্রেটিসও একে ব্যবহার করেছিলেন সারভাইকাল ক্যানসারের চিকিৎসায়। লুই পাস্তুর এর অ্যান্টিফাঙ্গাল ও অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুণের খবর জানান। সময়ের সঙ্গে আরও উপকারের কথা জানা গিয়েছে।

আধুনিক বিজ্ঞানীরা জানালেন হৃদরোগ প্রতিরোধে এর ভূমিকার কথা। ইউনিভার্সিটি অফ কানেটিকাটের স্কুল অফ মেডিসিন–এর কার্ডিওভাসকুলার রিসার্চ টিমের বিজ্ঞানীদের দাবি, কাঁচা রসুন খেলে হার্ট অনেক বেশি সুস্থ থাকে। রক্তচাপ বশে রাখতেও তার ভূমিকা আছে।

কোভিডের জটিলতা বাড়াতে হৃদরোগ ও হাই প্রেশারের কোনও জুড়ি নেই। কাজেই নিয়মিত রসুন খেলে যদি হার্ট ও রক্তচাপ ঠিক থাকে, কম থাকবে কোভিডের জটিলতাও। এর আরও নানা উপকার আছে।

• নিয়মিত রসুন খেলে মোট কোলেস্টেরল ও খারাপ কোলেস্টেরল এলডিএলের প্রায় ১০–১৫ শতাংশ কমে যায়। তবে উপকারি কোলেস্টেরল বা এইচডিএল বাড়াতে ও ট্রাইগ্লিসারাইড কমাতে এর কোনও ভূমিকা নেই।

• বিপাকীয় ক্রিয়া ও পরিবেশ দূষণের ফলে শরীরে যে ফ্রি র‌্যাডিক্যালস তৈরি হয় তা হার্ট তথা সমস্ত শরীরের জন্য ক্ষতিকর। রসুনের অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট সেই ক্ষতি খুব ভাল ভাবে ঠেকাতে পারে। কোভিডেও উপকার হয় তাতে।

• হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ শুভ্র বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, যে সমস্ত হৃদরোগী নিয়মিত রসুন খান, তাঁরা অনেক বেশি সক্রিয় থাকেন। তবে এ বিষয়ে অনেক গবেষণার প্রয়োজন।

• আয়ুর্বেদ বলছে, সবচেয়ে ভাল ফল পেতে গেলে সাপ্লিমেন্ট না খেয়ে খেতে হবে কাঁচা রসুন।

কাঁচা রসুনই কেন

জার্নাল অফ এগ্রিকালচারাল অ্যান্ড ফুড কেমিস্ট্রিতে প্রকাশিত প্রবন্ধে কাঁচা ও শুকনো রসুনের প্রভাব বিচার করেছেন বিজ্ঞানীরা। গবেষণাগারে বড় হওয়া দু–দল ইঁদুরের মধ্যে এক দলকে বেশ কিছু দিন ধরে খাওয়ানো হয় টাটকা কাঁচা রসুন, আরেক দলকে শুকনো রসুন। এরপর তাদের মধ্যে হালকা হার্ট অ্যাটাক সৃষ্টি করিয়ে তাঁরা দেখেন কোন গ্রুপের ইঁদুর কীভাবে সামলাচ্ছে এর ধাক্কা।

কাঁচা রসুনের উপকারের কথা কয়েকটি গবেষণাপত্রে জানা গিয়েছে।

হার্ট অ্যাটাকের ফলে অক্সিজেনের অভাবে হার্টের পেশির যে ক্ষতি হয়েছে, দু–দল ইঁদুরই তা সামলেছে প্রায় একই রকম দক্ষতায়। তবে যাঁরা কাঁচা রসুন খেয়েছিল, এই বিপর্যয়ের পরও তাদের হার্টের মূল ধমনি দিয়ে রক্ত সঞ্চালন বেশি ভালোভাবে হয়েছে ও হার্টের মধ্যে এমন কিছু পরিবর্তন হয়েছে যাতে চট করে রোগের ধকল সামলে উঠেছে তারা।

এ ব্যাপারে হিউম্যান ট্রায়াল না হলেও মোটামুটি নিশ্চিত করে বলা যায়, কাঁচা রসুনের যত উপকার, রান্না করার পর আর তত থাকে না।

পুষ্টিবিদ প্রিয়াঙ্কা মিশ্র জানিয়েছেন, কাঁচা রসুন কাটলে বা বাটলে যে ঝাঁঝালো গন্ধ বেরোয় তার মূলে আছে অ্যালিসিন। মাপমতো খেলে যা ওষুধের মতো কাজ করে।

রসুন কাটা বা বাটার পর সঙ্গে সঙ্গে খেয়ে না নিলে সে আস্তে আস্তে উবে যায়। সে জন্যই রসুন শুকিয়ে বা রান্নায় দিয়ে খেলে উপকার কমে যায়। প্যাকেটের রসুন বাটা বা সাপ্লিমেন্টেও এই উপকার থাকে না। তাছাড়া, অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টের মাত্রাও বেশি থাকে কাঁচা রসুনে। পূর্ণবয়স্কদের ক্ষেত্রে ২-৩টি রসুনের কোয়া খেতে বলছেন পুষ্টিবিদরা। রোজ সকালে এক কোয়া রসুন কাঁচা চিবিয়ে খেলে তা সবচেয়ে বেশি উপকারে আসে।

কখন, কীভাবে

আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দেবাশিস ঘোষ বলেন, ‘‘সকালে খালি পেটে খেতে হবে এমন নয়। বিকেল-দুপুর বা রাতে খেতে পারেন। পুরো উপকার পেতে গেলে খেতে হবে কাঁচা, আগেই বলা হয়েছে। এমনি খেতে অসুবিধা হলে ধনেপাতার সঙ্গে বেটে নিন। নারকেল বা কচু বাটায় মেশান। স্যালাডে বা দইয়ে মিশিয়ে খান। কারও ভয় একটাই, শ্বাসে কটূ গন্ধ হবে কি না। সে উপায়ও আছে। একটু পার্সলে পাতা চিবিয়ে নিন, দাঁত মাজুন বা ব্যবহার করুন মাউথ-ওয়াশ, গন্ধ চলে যাবে।’’

কাঁচা রসুন খাওয়ার উপকারিতা

রসুন কৃমি নাশ করতে, শ্বাস কষ্ট কমাতে, হজমে সহায়তা করতে, প্রস্রাবের সমস্যায়, শ্বাসনালী মিউকাস মুক্ত করতে, এ্যাজমা রোগের উপশমে, হাইপারটেনশন কমাতে, চুল পাকানো কমাতে, শরীরে কোলেস্টেরলের লেভেল কমাতে, হাড়ের বিভিন্ন রোগে রসুন সাহায্য করে। ভেষজ গুণের জন্য কাঁচা রসুন বেশি উপকারী।

খালি পেটে রসুন খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

রসুন খাওয়ার উপকারতা

উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে।
খালি পেটে রসুন খাওয়া হলে এটি একটি শক্তিশালী অ্যান্টিবায়োটিক এর মতো কাজ করে।
যক্ষ্মা প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে।
খালি পেটে রসুন খাওয়ার ফলে যকৃত এবং মূত্রাশয় সঠিকভাবে নিজ নিজ কার্য সম্পাদন করে।
রসুন যক্ষ্মা, নিউমোনিয়া, ব্রংকাইটিস, ফুসফুসের কনজেশন, হাপানি, হুপিং কাশি ইত্যাদি প্রতিরোধ করে।

রসুন খাওয়ার অপকারিতা

যাদের রসুন খাওয়ার ফলে এলার্জি হবার আশঙ্কা রয়েছে বা হয় তারা অবশ্যই কাঁচা রসুন খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। এছাড়া যাদের রসুন খাওয়ার ফলে মাথা ব্যথার সমস্যা হয়, বমির প্রাদুর্ভাব হয় বা অন্য কোন সমস্যা দেখা যায় তাদের জন্য কাঁচা রসুন না খাওয়াই ভাল।

রসুন ভর্তার উপকারিতা

রসুন আমাদের দৈনন্দিন জীবনে রান্নার বেশ উপকারী একটি অংশ। মাংস রান্না করা থেকে শুরু করে সবজি ভাজি কিংবা ভর্তা তৈরিতে রসুনের চাহিদা অনেক বেশি। আমাদের দেহে রসুন স্বাস্থ্য উপকারিতা নিয়ে দেশ-বিদেশে অনেক গবেষণা করা হয়েছে ।
১। অস্টিওপোরোসিস চিকিৎসায় সাহায্য করে।
২। দেহের কলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে।
৩। রক্ত চাপ নিয়ন্ত্রনে রাখে।
৪। হাড়ের জয়েন্টের ব্যথা দূর করতে সহায়তা করে।
৫। দেহে ব্যাকটেরিয়া বিস্তার প্রতিরোধ করে।
৬। যক্ষ্মা চিকিৎসায় সাহায্য করে।
৭। দেহে আঘাত বা আঘাত জনিত কারণে পুজ হলে তা সাড়াতে সাহায্য করে।
৮। যৌন ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
৯। দেহের হজম শক্তি বৃদ্ধি করে।
১০। কোলন ক্যানসার বিস্তারে বাধা প্রদান করে।
১১। পিত্ত থলির ক্যানসার প্রতিরোধ করে

About Health Care Medicine

Check Also

There is a wonderful diet therapy – থেরাপী নামে একটা চমৎকার ডায়েট থেরাপি আছে

DOS ( Doctrine of Signatures ) থেরাপী নামে একটা চমৎকার ডায়েট থেরাপি আছে । রোগ …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *