ঘরোয়া উপায়ে মশার উপদ্রব কমানোর উপায় – Domestic ways to reduce mosquito infestation
আবহাওয়ার এই সময়ে বৃষ্টি এবং গরমের পাশাপাশি বেড়েছে মশার উৎপাত। মশার কামড় থেকে ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া, চিকুনগুনিয়ার ভয়ও রয়েছে। এ জন্য সচেতনতা প্রয়োজন আরও বেশি। মশার কয়েল কিংবা স্প্রে তো আছেই, পাশাপাশি ঘরোয়াভাবে চেষ্টা করতে পারেন মশা তাড়াতে।
ঘরোয়া উপায়ে মশার উপদ্রব কমানোর উপায়
১ – লেবু কেটে খণ্ড করে ভেতরের অংশে ১০ থেকে ১২ টা লবঙ্গ গেঁথে দিন। লবঙ্গের মোটা মাথার দিকের অংশ বাইরে থাকবে চিকন দিক লেবুর মধ্যে লবঙ্গের পুরোটা ঢোকাবেন। এরপর লেবুর টুকরাগুলো একটি প্লেটে করে ঘরের কোনায় রেখে দিন। ব্যস, এতে বেশ কয়েক দিন মশার উপদ্রব কমবে। আপনি চাইলে লেবুতে লবঙ্গ গেঁথে জানালার গ্রিলেও রাখতে পারেন। এতে করে মশা ঘরে ঢুকবে না।
২ – নিমের তৈল দিয়ে মশা তাড়ানো: নিমের মশা তাড়ানোর বিশেষ একটি গুণ রয়েছে। নিমের তেল ত্বকের জন্যও বেশ ভালো। তাই একসঙ্গে দুটি উপকার পেতে ব্যবহার করতে পারেন নিমের তেল। সমপরিমাণ নিমের তেল ও নারকেল তেল মিশিয়ে ত্বকে লাগিয়ে নিন। মশা আপনার ধারেকাছে ভিড়বে না এবং সেই সঙ্গে ত্বকের অ্যালার্জি, ইনফেকশনজনিত নানা সমস্যাও দূর হবে।
৩ – ছোট গ্লাসে একটু পানি নিয়ে তাতে পাঁচ থেকে ছয় গাছি পুদিনাপাতা রেখে দিন খাবার টেবিলে। তিন দিন অন্তর পানি বদলে দেবেন। শুধু মশাই নয়, পুদিনার গন্ধে অনেক ধরনের পোকামাকড় ঘরে আসে না। পুদিনাপাতা ছেঁচে নিয়ে পানিতে ফুটিয়ে নিন। এই পানির ভাপ পুরো ঘরে ছড়িয়ে দিন। চাইলে পুদিনার তেলও গায়ে মাখতে পারেন।
৪ – থাই লেমন গ্রাসের সুগন্ধ কিন্তু মশাদের যম। আপনার আশপাশে লেমন গ্রাসের ঝাড় থাকলে মশারা আপনাকে খুঁজে পাবে না। লেমন গ্রাস দেখতেও মন্দ নয়।
৫ – ব্যবহৃত চা-পাতা ফেলে না দিয়ে ভালো করে রোদে শুকিয়ে নিন। এভাবে ওই চা–পাতা ধুনার বদলে ব্যবহার করুন। শুকনা চা–পাতা পোড়ানো ধোঁয়ায় ঘরের সব মশা, মাছি পালিয়ে যাবে। কয়লা বা কাঠকয়লার আগুনে নিমপাতা পোড়ালে যে ধোঁয়া হবে, তা মশা তাড়ানোর জন্য খুবই কার্যকর।
৬ – মশা গাঢ় রঙের প্রতি আকৃষ্ট হয়, যেমন কালো, নীল আর লাল। মশা গরমের প্রতিও সংবেদনশীল। তাই ঠান্ডা রাখুন ঘর আর পোশাক পড়ুন হালকা রঙের।

৭ – রসুনের স্প্রে মশা তাড়াতে খুবই কার্যকর প্রাকৃতিক উপায়। পাঁচ ভাগ পানিতে এক ভাগ রসুনের রস মেশান। মিশ্রণটি একটি বোতলে ভরে শরীরের যেসব স্থানে মশা কামড়াতে পারে, সেসব স্থানে স্প্রে করুন।