Immunity Boosters: Which foods and vitamins boost human immunity? কোন খাবার এবং ভিটামিন মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
শরীরকে সুস্থ রাখতে এবং রোগের ঝুঁকি কমাতে ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এগুলি শরীরে হাড়-পেশী-ত্বককে তরতাজা রাখে, কোষ মেরামত করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও শক্তিশালী রাখে। সাধারণত, শরীর খুব কম পরিমাণে ভিটামিন এবং খনিজ তৈরি করে, যা শরীরের চাহিদা অনুযায়ী যথেষ্ট নয়। তাই খাবারের মাধ্যমে তাদের অভাব পূরণ হয়।

শরীরকে সুস্থ রাখতে এবং রোগের ঝুঁকি কমাতে ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থকে মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট বলা হয় কিছু ভিটামিন এবং খনিজও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে, শরীরকে সুস্থ রাখতে এবং রোগের ঝুঁকি কমাতে ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
এগুলি শরীরে হাড়-পেশী-ত্বককে তরতাজা রাখে, কোষ মেরামত করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও শক্তিশালী রাখে। সাধারণত, শরীর খুব কম পরিমাণে ভিটামিন এবং খনিজ তৈরি করে, যা শরীরের চাহিদা অনুযায়ী যথেষ্ট নয়। তাই খাবারের মাধ্যমে তাদের অভাব পূরণ হয়।
শরীরের অনাক্রম্যতা মানে ইমিউন সিস্টেম কোষ এবং প্রোটিন দ্বারা গঠিত, যা ক্ষতিকারক অণুজীব থেকে আমাদের শরীরকে রক্ষা করার জন্য তাদের বিরুদ্ধে অ্যান্টিবডি তৈরি করে। ভিটামিন ও মিনারেলের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা হল শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করা।
ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থ কী?
ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থকে মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট বলা হয়। এগুলি হল সেগুলি, যা আমাদের শরীরে প্রতিদিন ১০ গ্রামের কম প্রয়োজন। ভিটামিন ৫ প্রকার। A, B, C, D, E এবং K এর মধ্যে ভিটামিন B এর ৮ টি অংশ রয়েছে, যথা B1, B2, B3, B5, B6, B7, B9 এবং B12। অর্থাৎ মোট ১৩টি ভিটামিন রয়েছে। হার্বার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের মতে, প্রধানত ২ ধরনের খনিজ রয়েছে। যা শরীরের জন্য খুবই প্রয়োজন।
মূল খনিজ:
শরীরে এই খনিজগুলি প্রচুর পরিমাণে প্রয়োজন। এর মধ্যে ক্যালসিয়াম, জিঙ্ক, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, পটাসিয়াম, সোডিয়াম এবং সালফার রয়েছে।
ট্রেস খনিজ:
এই খনিজগুলি স্বাস্থ্যের জন্য প্রধান খনিজগুলির মতো সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ, তবে শরীরের জন্য তাদের বেশি পরিমাণে প্রয়োজন হয় না। এই বিভাগে ক্রোমিয়াম, সেলেনিয়াম, কপার, ফ্লোরাইড, আয়োডিন, আয়রন, ম্যাঙ্গানিজ, সেলেনিয়াম এবং জিঙ্ক অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
এর মধ্যে কিছু ভিটামিন এবং খনিজও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। ওমিক্রন এবং COVID-19 থেকে নিরাপদ থাকতে চাইলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে নিম্নলিখিত ভিটামিন এবং খনিজগুলি খাবারে গ্রহণ করতে পারেন। কিন্তু রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ভালো জীবনযাপন, স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, ব্যায়াম, পর্যাপ্ত ঘুম, সব উপাদান একসঙ্গে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে।
ভিটামিন সি
ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর অন্যতম একটি ভিটামিন। এটি শরীরে সংক্রমণ প্রতিরোধে সাহায্য করে। সাইট্রাস ফল থেকে শুরু করে সবুজ শাকসবজি সব কিছুতেই এই ভিটামিন পাওয়া যায়। ভিটামিন সি অনেক খাবারে পাওয়া যায়, তাই সাপ্লিমেন্ট সেবন করবেন না যতক্ষণ না ডাক্তার ভিটামিন সি সাপ্লিমেন্ট নেওয়ার পরামর্শ দেন। তার বদলে পালং শাক, বাঁধাকপি, স্প্রাউট, স্ট্রবেরি, পেঁপে, কমলা, ব্রকলি খান।
ভিটামিন এ
ভিটামিন এ আমাদের সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে এবং নিরামিষ এবং আমিষ খাবার উভয় পণ্যেই পাওয়া যায়। মাংস এবং দুধের মতো প্রাণীজ পণ্যে ভিটামিন এ উপস্থিত থাকে এবং নিরামিষাশীদের জন্য এই ভিটামিন উদ্ভিদ থেকে পাওয়া যায়। গাঢ় সবুজ শাকসবজি, গাজর, মিষ্টি আলু, রঙিন শাকসবজি, হলুদ ফল, দুগ্ধজাত পণ্য, মাছ ইত্যাদি পাওয়া যায়।
<2>ভিটামিন ই
ভিটামিন সি এর মতো, ভিটামিন ইও একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা আপনার শরীরকে সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সহায়তা করে। এই গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিনটি শরীরের প্রায় ২০০টি জৈব রাসায়নিক বিক্রিয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যার মধ্যে অনাক্রম্যতা বাড়ানো সহ। ভিটামিন ই অনেক খাবার থেকে পাওয়া যায়। যেমন, বাদাম, চিনাবাদাম, পিনাট বাটার, সরিষার বীজ, সূর্যমুখী বীজ, সয়াবিন তেল, আখরোট, আম ইত্যাদি।
ভিটামিন ডি
ভিটামিন ডি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়। এটি অন্যতম শক্তিশালী পুষ্টি উপাদান। ভিটামিন ডি এর প্রধান উৎস হল সূর্যালোক। এ ছাড়া স্যামন মাছ, টুনা মাছ, সার্ডিন মাছ, দুধ, কমলার রস ও শস্য থেকে পাওয়া যায়।
আয়রন
আয়রন শরীরের কোষে অক্সিজেন বহন করতে সাহায্য করে এবং ইমিউন সিস্টেমের অনেক প্রক্রিয়ায় ভূমিকা পালন করে। আমাদের শরীর সহজেই বিভিন্ন পদার্থ থেকে আয়রন শোষণ করতে পারে। তাই আয়রনের ঘাটতি পূরণ করতে নিম্নলিখিত জিনিসগুলি খাওয়া যেতে পারে। মুরগি, মাংস, লেগুম, ব্রকলি, বাঁধাকপি, শস্য ইত্যাদি।
জিঙ্ক
জিঙ্ক নতুন ইমিউন সিস্টেম কোষ উৎপাদনের জন্য দায়ী। এটি এমন একটি খনিজ, যা আমাদের শরীরে খুব কম পরিমাণে পাওয়া যায়। তাই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে নিয়মিত জিঙ্ক জাতীয় খাবার খেতে হবে। এটি উদ্ভিদ এবং প্রাণী উভয়ের মধ্যেই পাওয়া যায়। এটি চর্বিহীন মাংস, ডিম, দই, ছোলা, মুরগি, দুধ, পনির, কাজু, বাদাম, চিনাবাদাম ইত্যাদি থেকে পাওয়া যায়।
সেলেনিয়াম
সেলেনিয়াম একটি ট্রেস খনিজ, অর্থাৎ শরীরের এটির খুব বেশি প্রয়োজন নেই, তবে এটি অনাক্রম্যতার উপর দুর্দান্ত প্রভাব ফেলে এবং এটি কিছু পরিমাণে অনাক্রম্যতা বাড়াতে সাহায্য করতে পারে। এটি সামুদ্রিক খাবার (টুনা, হালিবুট, সার্ডিনস), চর্বিহীন মাংস, মুরগির মাংস, ডিম, ওটস, পালং শাক, মাশরুম ইত্যাদি থেকে পাওয়া যেতে পারে।
These foods boost human immunity: এই খাবারগুলো মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
সুস্থতার জন্য সুষম খাবার খাওয়াটা জরুরি। অনেকে না বুঝে কম-বেশি খেয়ে শরীরকে রোগাক্রান্ত করে ফেলেন। সঠিক ডায়েট চার্ট অনুস্মরণ না করলেও শরীর ভেঙে যায়। বাসা বাধে নানা রোগব্যাধি।
শরীরে রোগব্যাধি প্রতিরোধে সঠিক খাবার খাওয়াটা জরুরি। কিছু খাবার আছে যেগুলো নিয়মিত খাদ্যতালিকায় রাখলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।
এসব খাবারের গুণাগুণ সম্পর্কে যুগান্তরকে পরামর্শ দিয়েছেন পুষ্টিবিদ সাজেদা কাশেম জ্যোতি।
আমরা যা-ই খাই তা যদি শোষিত হয়ে শরীরের ক্ষয়পূরণ, রোগ প্রতিরোধ ও বৃদ্ধি সাধন করে, তবেই তাকে খাদ্য বলে। ১০ ধরনের খাদ্য রোগ প্রতিরোধের জন্য যুদ্ধ করে। সে বিষয়ে নিচে সংক্ষেপে আলোচনা করা হলো।
1. রুটি, ময়দা, আটা, চাপাতির মধ্যে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন বি-৬ বা পাইরিডক্সিন আছে, যা কিনা প্লিহা ও থাইমাস গ্রন্থির কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং অর্গান দুটি রোগ প্রতিরোধের জন্য সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। অন্য ‘বি’ ভিটামিনের গুরুত্বও আছে। ফলিক অ্যাসিড টাটকা শাকসবজিতে পাওয়া যায়, ভিটামিন বি-১২, লিভার, মাছ, ডিম, ছত্রাক ও শস্যজাতীয় খাদ্যের মধ্যে পাওয়া যায়।
2. ভিটামিন ‘এ’ সমৃদ্ধ খাবার, যা কিনা লালশাক, পুঁইশাক টাটকা শাকসবজিতে পাওয়া যায়। গাজর, আম, কলা, পেঁপে, রঙিন ফলেও ভিটামিন ‘এ’ বেশি থাকে। মলাঢেলা মাছ, গোশত, দুধ, ডিম তো আছেই। ভিটামিন ‘এ’-তে বিটাক্যারোটিন থাকে যা ত্বক ও মিউকাস মেমব্রেনের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে, রোগ প্রতিরোধ তন্ত্রের তীব্রতা বৃদ্ধি করে। অ্যান্টিবডি রেসপন্ডে সাহায্য করে, রাতকানা রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে ইত্যাদি।
3. ঘি, দুগ্ধ ও দুগ্ধজাতীয় খাবারে প্রচুর ক্যালসিয়াম থাকে। এছাড়া শাকসবজি, মাছ, চীনাবাদাম ও ডালের মধ্যে পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্যালসিয়াম থাকে, যা ম্যাগনেসিয়ামের সঙ্গে যুক্ত হয়ে ইমিউন কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এটা চর্বি কমাতে সাহায্য করে।
4. চকলেট, আইসক্রিম, কোকো গুঁড়া করে তৈরি মন্ড, গোশত, ডিমের কুসুম, শিলমাছ, সুগন্ধী মসলা ইত্যাদি চমৎকারভাবে আয়রনের সঙ্গে যুক্ত হয়। শ্বেত রক্তকণিকার সমতা রক্ষা করে, যা ইমিউনিটি সৃষ্টিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
5. সামুদ্রিক মাছ, সামুদ্রিক খাদ্য, মুরগি, লিভার, ডিমের কুসুম শস্যজাতীয় খাবার, ইলিশ মাছ, মাছের তেল ইত্যাদির মধ্যে সেলেনিয়াম নামক খনিজ লবণ থাকে, যা শ্বেত রক্তকণিকা ও ইমিউন এনজাইমের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে। এ তেলের মধ্যে ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে। এরা রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে।
6. ম্যাগনেসিয়াম— টাটকা শাকসবজি, চীনাবাদাম, সামুদ্রিক খাদ্য ও শস্যজাতীয় খাবারে ম্যাগনেসিয়াম থাকে। এগুলো ইমিউনিটির কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে।
7. ভিটামিন ‘ই’ উদ্ভিদজাতীয় খাবার, শাকসবজি, ফলমূল, ভেষজ তেলে পাওয়া যায়। শিম, শিমের বিচি, চীনাবাদাম ইত্যাদি। এ ছাড়া প্রাণিজ খাদ্য, ডিম, ডিমের কুসুম, মাছ, গোশত ও দুধে থাকে। এগুলো শ্বেত রক্তকণিকার কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
8. আমলকী, হরীতকী, পেঁপে, তরমুজ, বাঁধাকপি, টকজাতীয় লেবু, কমলালেবু, পেয়ারা ইত্যাদি। এগুলো কেমিক্যাল মেসেঞ্জার নাম্বার বৃদ্ধি করে। বিশেষ করে ইন্টারফেরন যা ইনফেকশনের প্রসেস প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
9. জিংক : সবুজ শাকসবজি, ফলমূল, ডিম, গোশত, সেরিয়াল, চিংড়ি, সামুদ্রিক খাদ্যে জিংক প্রচুর পরিমাণে রয়েছে, যা ফ্রি রেডিক্যালের কার্যকারিতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। জঞ্জাল কোষকে (জীবাণু ধ্বংস করার পর যেগুলোর মৃত্যু ঘটে) মুক্ত করতে সাহায্য করে। জিংক আমাদের শরীরের পুষ্টির জন্য একটি অতিপ্রয়োজনীয় উপাদান। জিংক শরীরের বিভিন্ন এনজাইমের একটি অংশ এবং সব টিস্যুতেই এটি আছে।
10. গ্রিন টি, শস্যজাতীয় খাদ্য, টাটকা শাকসবজি জাতীয় খাদ্যে মাংগানিজ থাকে, যা কিলার ইমিউন সেলের কার্য বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
প্রতিদিন খেতে অভ্যাস করুন আঁশযুক্ত খাবার। টাটকা সবুজ শাকসবজি। কলা, লেবু, টমেটো ও শসা। পেঁয়াজ, রসুন, কালিজিরা। সামুদ্রিক মাছ।
We’re a bunch of volunteers and opening a brand new scheme in our community.
Your site provided us with helpful info to work on. You have performed
a formidable process and our entire neighborhood
shall be grateful to you.