Magical benefits of sweet potato in controlling cancer and diabetes
এটি পটাশিয়াম ও ম্যাগনেসিয়ামেরও ভালো উৎস, যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রেখে হার্টের কাজ বজায় রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও মিষ্টি আলুতে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার আছে, যা ওজন কমাতে সাহায্য করে এবং ক্রনিক রোগের ঝুঁকি কমায়, যেমন- টাইপ ২ ডায়াবিটিস ও হাই কোলেস্টেরল। মিষ্টি আলু খনিজতে ভরপুর।
প্রাপ্ত বয়স্ক হয়েছে এমন অধিকাংশ মানুষই ডায়াবেটিস এর সঙ্গে পরিচিত। আমেরিকান ডায়াবেটিস অ্যাসোসিয়েশনের মতে, ডায়াবেটিস হচ্ছে এমন একটি রোগ যা কখনোই সম্পন্নভাবে সারে না। তবে খুব সহজেই নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় এই রোগকে। এই রোগকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়ক ভূমিকা রাখতে পারে মিষ্টি আলু। এটি এমন একটি সবজি যা তরকারি, ভর্তা, মিষ্টি হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে।
মিষ্টি আলু বিভিন্ন রঙের হয়ে থাকে, যেমন- সাদা, বেগুনি, কমলা ও হলুদ। তবে অধিকাংশ অঞ্চলে বেগুনি ও সাদা রঙের আলুই দেখা যায়। এই সবজি খাবারের স্বাদ বাড়ানো ছাড়াও শরীরকে বিভিন্ন পুষ্টি দিয়ে সহায়তা করে। এটি খেতে মিষ্টি হওয়ায় অনেক ডায়াবেটিস রোগীই এড়িয়ে চলেন মিষ্টি আলুকে। কিন্তু এই সবজিই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে অনেক সহায়ক ভূমিকা রাখে। সেই সঙ্গে হজমের সমস্যাও দূর করে। কেননা এই সবজিতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে।
মিষ্টি আলুতে ফাইবারের পরিমাণ বেশি থাকায় হজম শক্তিতে বেশ কার্যকরী ভূমিকা রাখে। এটি খাওয়ার পর শরীর দীর্ঘক্ষণ ঠাণ্ডা থাকে এবং পেটও দীর্ঘক্ষণ ভর্তি থাকে। এ কারণে শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে ও ওবেসিটি হ্রাস করে। হজমজনিত সমস্যার জন্য অনেকেরই মলত্যাগে সমস্যা হয়। ডায়েটে মিষ্টি আলু রাখার ফলে এই সমস্যা থেকে পরিত্রাণ মিলতে পারে। মিষ্টি আলুতে ভিটামিন-এ, বি, সি, ডি, ই ও কে রয়েছে। যা অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেন্টরি উপাদান হিসেবে কাজ করে শরীরে। বিভিন্ন সমস্যা দূর করে সুস্থ রাখে নিজেকে।
মিষ্টি আলুতে থাকা ক্যারটেনয়ডস নামের উপাদান কোষের ক্ষয় রোধ করে। ভিটামিন-ই ও সি থাকায় ত্বক ও চুলকে রাখে সুস্থ। এছাড়াও ত্বককে ক্ষতিকর রশ্মি থেকে রক্ষা করে। এতে ত্বক কালো হওয়ার মতো সমস্যা থাকে না। একটি গবেষণা বলছে মিষ্টি আলুতে অ্যান্টি-ক্যান্সার উপাদান থাকে। এতে থাকা অ্যান্থোক্যায়ানিন ব্লাড ক্যানসার, ব্রেস্ট ক্যানসার, গ্যাস্ট্রিক ক্যানসার রোধেও ভূমিকা রাখে। এই উপাদান ক্যানসার কোষ মেরে ফেলে। আর এতে থাকা ফাইবার ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অল্প পরিমাণ করে দিনে একবার মিষ্টি আলু খাওয়া যেতে পারে। কেবল মাত্র সুগার নিয়ন্ত্রণ নয়, ডায়াবেটিস রোগীদের কার্ডিওভাসকুলার সমস্যা হওয়ার যে আশঙ্কা থাকে মিষ্টি আলু খাওয়ার ফলে সেই আশঙ্কা দূর হয়। মিষ্টি আলুতে থাকা ফাইবার উপাদানই সেই থেকে মুক্তি দেয়।
সূত্র: হেলথ লাইন, কানাডা কেয়ার সেন্টার ও নিউজ এইটটিন।
এসআর/এম
মিষ্টি আলুর উপকারিতা
সহলভ্য এবং মজাদার হলেও কম মূল্যায়ন করা এই সবজির পুষ্টিগুণ অনেক।
কন্দ-জাতীয় সবজি মিষ্টি আলু তাপ প্রয়োগের ফলে এর স্টার্চ ভেঙে প্রাকৃতিক শর্করা ‘মল্টোজ’য়ে পরিণত হয়।
পুষ্টি-বিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে এই বিষয়ের ওপর প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে মিষ্টি আলুর উপকারিতা সম্পর্কে জানানো হল।
মিষ্টি আলু উচ্চ আঁশজাতীয় খাবার যা কার্বোহাইড্রেইটের জটিল যৌগ। ফলে তা শরীরে শক্তি যোগাতে সাহায্য করে। এটা বিটা ক্যারটিনের ভালো উৎস যা মূলত অ্যান্টি অক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন এ’তে রূপান্তরিত হয়। এটা কেবল চোখের স্বাস্থ্যই ভালো রাখে না বরং ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখে এবং বয়সের গতি ধীর করে।
প্রচলিত বিশ্বাস ও পুষ্টিবিজ্ঞানের তথ্যানুসারে অনুযায়ী, মিষ্টি আলু স্টার্চ বা মল্টোজের কারণে রক্তচাপ বাড়ায় না। এটা উচ্চ আঁশ-জাতীয় হওয়ায় তা ধীরে খরচ হয় যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। টাইপ টু ডায়াবেটিস দূরে রাখে। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং হৃদযন্ত্র সুস্থ রাখতে মিষ্টি আলু বেশ উপকারী।