spirulina for mental pressure
Tips to reduce depression

Tips to Overcome Depression: ডিপ্রেশন দূর করার চমৎকার কিছু টিপস

Tips to Overcome Depression: ডিপ্রেশন দূর করার চমৎকার কিছু টিপস

ডিপ্রেশন জিনিষটা আজকাল সবার মাঝেই কম বেশ বিরাজমান। কাজের চাপ,সম্পর্কের দোটানা, পরীক্ষায় রেজাল্ট খারাপ, দাম্পত্য কলহ, পারিবারিক অশান্তি সহ নানা কারনে মানুষের জীবনে ডিপ্রেশন এসে ভর করতে পারে । যা জীবনে চলার পথে খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার । কারন জীবন মানেই ভালো ও খারাপ সময়ের সংমিশ্রন ।

কিন্তু গন্ডগল টা বাধে তখনই যখন কেউ এই ডিপ্রেশন থেকে বের হতে পারে না বা বের হওয়ার চেষ্টাও করে না ।ফলে দিন দিন ডিপ্রেশনের মাত্রা বেড়েই চলে এবং একটা সময় নিয়ন্ত্রনের বাইরে চলে যায়। ফলাফল সরুপ অনেকেই জীবনে মারাত্মক ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে বসেন কেউ কেউ তো আত্মহত্যার পথও বেছে নিতে দ্বিধা বোধ করে না ।

যা একেবারেই বোকামী ছাড়া আর কিছুই নয় । জীবনে চলার পথে ডিপ্রেশন,হতাশা,খারাপ সময় আসবেই ।কিন্তু যারা বুদ্ধিমান ওরা খুব সুন্দর ভাবে ডিপ্রেশন মোকাবেলা করে থাকে। তো চলুন জেনে নেই ডিপ্রেশন থেকে বের হওয়ার কিছু চমৎকার টিপস্ সম্পর্কে ।

আবেগ নিয়ন্ত্রণ

— কথায় বলে “আবেগে বিবেক নষ্ট”। একদম ঠিক তাই।বোকারা সব কিছুতেই আবেগকে প্রাধান্য দিয়ে থাকে।তারাই বুদ্ধিমান যারা আবেগ নিয়ন্ত্রণ করে বিবেক এবং বুদ্ধি দিয়ে জীবনের সকল সমস্যার সমাধান খুজে বের করে।মানুষ প্রাকৃতিক ভাবেই আবেগ প্রবন।কিন্তু তার মানে এই নয় যে সব কিছুতেই আবেগকে প্রাধান্য দিতে হবে।

জীবনে চলার পথে আবেগকে নিজের নিয়ন্ত্রণে রাখা খুবই জরুরী।আপনি কোন কিছু নিয়ে ডিপ্রেশনে থেকে থাকলে বিবেক এবং বুদ্ধি খাটিয়ে এর সমাধান বের করার চেষ্টা করুন এবং আবেগকে দূরে রাখুন । তাহলে অবশ্যই এর সমাধান হবেই।

মানসিক দৃঢ়তা

— আপনি কোন কিছু নিয়ে ডিপ্রেশনে ভুগে থাকলে আপনাকে অবশ্যই মানসিক দৃঢ়তার পরিচয় দিতে হবে । কোন আবস্থাতেই ভেঙ্গে পরা যাবে না সমস্যা যত কঠিনই হোক না কেন ।

একটা জিনিষ সর্বদা মনে রাখতে হবে কষ্টের পরে সুখ আসবেই। তাই জীবনের খারাপ সময়গুলোতে মানসিক ভাবে শক্ত থেকে মোকাবেলা করতে হবে। লড়াই করে যেতে হবে ডিপরেশনের সাথে কিন্তু হার মানা যাবে না। একটা সময় ডিপ্রেশনই হার মানতে বাধ্য হবে।

কিছু জিনিষ এড়িয়ে চলা— ঠিক যে কারনে বা যার কারনে আপনি ডিপ্রেশনে ভুগছেন সেই জিনিষগুলো এড়িয়ে চলুন।মনে রাখতে হবে সময় এবং জীবন সর্বদা পরিবর্তনশীল।তাই সময় এর সাথে সাথে জীবনের বিভিন্ন লগ্নে প্রয়োজনে কিছু জিনিস এড়িয়ে চলতে হয় বা ভুলে থাকতে হয়।

নিজেকে কষ্ট দিয়ে কোনো স্মৃতি আঁকড়ে ধরে রাখার চেয়ে যদি তা ভুলে গিয়ে ভালো ভাবে বাঁচা যায় তাহলে সেটাই শ্রেয় নয় কি ?

মন খুলে কথা বলা

– প্রত্যেকের জীবনেই একজন না একজন প্রকৃত বন্ধু থেকে থাকে যাকে চোখ বন্ধ করে বিশ্বাস করা যায়।এটা হতে পারে মা, বাবা, ভাই,বোন, অথবা বেস্ট ফ্রেন্ড। সে যেই হোক না কেন তাকে মন খুলে সব কথা বলুন।দরকার হলে প্রাণ খুলে কাঁদুন। লজ্জার কিছুই নেই।কষ্ট মানুষের জীবনের-ই একটা অংশ।সুখের সময় যদি সবার সাথে প্রাণ খুলে হাসতে পারেন তাহলে দুঃখের সময় প্রাণ খুলে কাঁদবেন না কেন! তাই প্রাণ খুলে সব বলে মনের ভিতরটা পাতলা করুন।

যদি কারো কাছে কিছু বলতে বা কারো সামনে কাঁদতে না পারেন তাহলে একাকী কাঁদুন। অঝোরে কাঁদুন। এতে করে নিজের মনের ভিতর জমানো দুঃখ টা বের হয়ে আসবে এবং ঘুরে দাঁড়ানোর শক্তি টা পুনজ্জীবিত হবে।

ব্যাস্ত থাকা

– ডিপ্রেশন থেকে বাঁচার খুব ভালো একটি উপায় হচ্ছে ব্যাস্ত থাকা। নিজেকে বিভিন্ন কাজে ব্যাস্ত রাখলে ডিপ্রেশন ঘিরে ধরতে পারে না।কারণ তখন মস্তিষ্ক অন্যদিকে মনোনিবেশ করে থাকে যার ফলে ডিপ্রেশন মনকে কাবু করতে পারে না। তাই ডিপ্রেশন থেকে বাঁচতে হলে অলসতা কে প্রশ্রয় দেয়া যাবে না। কাজে ব্যাস্ত থাকতে হবে।

সৃজনশীল কিছু করা

– প্রত্যেকের মধ্যেই সুপ্ত কিছু প্রতিভা রয়েছে। কারো প্রতিভা প্রকাশ পায় কারোবা সুপ্ত অবস্থাতেই রয়ে যায়।তাই হতাশায় না ভুগে নিজের প্রতিভা কে জাগিয়ে তুলুন। সৃজনশীল কিছু করুন যাতে করে নিজের প্রতিভার ও প্রকাশ পাবে এবং
সময়টাও খুব ভালো কাটবে।

মন ভালো রাখা

– একেকজন মানুষের মন একেকরকম তাই একেক জনের মন ভালো থাকার উপায় টাও ভিন্ন ভিন্ন । তাই আপনাকে বুঝতে হবে কি করলে আপনার মন ভালো থাকে।এটা হতে পারে বই পড়া , মুভি দেখা , বাগান করা , শখের বসে রান্না করা ইত্যাদি ইত্যাদি।অবসর সময় একা একা বসে না থেকে মন ভালো থাকে এমন কিছু করতে পারেন।

কোথাও ঘুরতে যাওয়া

– হতাশায় ঘরের এক কোণে নিজেকে গুটিয়ে না রেখে একটু বাইরের জগৎ টা ঘুরে আসুন। দূরে কোথাও বেড়াতে যান বন্ধুদের সাথে।সব ভুলে পাহাড়ের সৌন্দর্য অথবা সমুদ্রের বিশালতায় হারিয়ে যান কিছু দিনের জন্য।দেখবেন সব হতাশা ডিপ্রেশন হার মানতে বাধ্য হবে।

ব্যায়াম করা

– স্ট্রেস কমানোর জন্য ব্যায়াম খুবই কার্যকরী একটি জিনিস।শরীর সুস্থ এবং ফিট থাকলে মন অনেকটাই ভালো হয়ে যায়। কারণ শরীরের সাথে মনের রয়েছে গভীর এক সংযোগ।তাই নিয়মিত ব্যায়াম অথবা ইয়োগা করুন। এতে শরীর এবং মন দুটোই ভালো থাকবে।

About Health Care Medicine

Check Also

There is a wonderful diet therapy – থেরাপী নামে একটা চমৎকার ডায়েট থেরাপি আছে

DOS ( Doctrine of Signatures ) থেরাপী নামে একটা চমৎকার ডায়েট থেরাপি আছে । রোগ …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *